সিস্টেমের বৈশিষ্ট্য

সিস্টেমের বৈশিষ্ট্য – আজ আমাদের আলোচনার বিষয়। এই পাঠটি “সিস্টেম অ্যানালাইসিস অ্যান্ড ডিজাইন” বিষয়ের “ইনফরমেশন সিস্টেমস ও ম্যানেজমেন্টের উপাদানসমূহ” অংশের পাঠ।

সিস্টেমের বৈশিষ্ট্য

সিস্টেমের বৈশিষ্ট্য | ইনফরমেশন সিস্টেমস ও ম্যানেজমেন্টের উপাদানসমূহ | সিস্টেম অ্যানালাইসিস অ্যান্ড ডিজাইন

যেহেতু সিস্টেম একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া, যার উপাদানসমূহ একে অপরের উপর নির্ভরশীল, তাই সিস্টেমের কিছু বৈশিষ্ট্য থাকা স্বাভাবিক। নিচে সিস্টেমের পাঁচটি বৈশিষ্ট্য আলোচনা করা হলো-

 

সিস্টেমের পাঁচটি বৈশিষ্ট্য:

(ক) অর্গানাইজেশন/ক্রম ( Organization/Order).

(খ) ইন্টার্যাকশন (Interaction),

(গ) ইন্টারডিপেনডেন্স (Interdependence),

(খ) ইন্টিগ্রেশন (Integration) এবং

(ঙ) সেন্ট্রাল অবজেক্টিভ (Central objective)। 

নিম্নে এই পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের বিশদ বিবরণ দেওয়া হলো-

(ক) অর্গানাইজেশন/ক্রম (Organization/Order) :

Organization হলো একটি সুসংগঠিত প্রতিষ্ঠান, যা কতকগুলো ক্রম বা ধারা মেনে চলে। এটি কতকগুলো উপাদানের সমষ্টি। উপাদানগুলো একে অপরের উপর নির্ভরশীল এবং প্রত্যেকটি উপাদান একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য ধারাবাহিকভাবে কাজ করে। যেমন- একটি প্রতিষ্ঠানের একজন মহাব্যবস্থাপক থাকে, তারপর ব্যবস্থাপক, তারপর সুপারভাইজার এবং সর্বশেষ কর্মীবৃন্দ। এখানে কর্মকর্তা ও কর্মচারীর একটি নির্দিষ্ট ধাপ পরিলক্ষিত হয়েছে।ঠিক তেমনই একটি কম্পিউটার সিস্টেমের মধ্যে একটি ইনপুট ডিভাইস, সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট, আউটপুট ডিভাইস এবং তথ্য সংরক্ষণের জন্য রয়েছে স্টোরেজ ডিভাইস, আর উপরোক্ত উপাদানসমূহের সম্বলিত গঠনই হলো কম্পিউটার, যার মাধ্যমে একটি উদ্দেশ্য সাধন বা সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।

 

সিস্টেমের বৈশিষ্ট্য | ইনফরমেশন সিস্টেমস ও ম্যানেজমেন্টের উপাদানসমূহ | সিস্টেম অ্যানালাইসিস অ্যান্ড ডিজাইন

(খ) ইন্টার্যাকশন (Interaction) :

ইন্টার্যাকশনের মূল অর্থ হলো পারস্পরিক ক্রিয়া অর্থাৎ সিস্টেমের প্রতিটি উপাদান একে অপরের উপর ক্রিয়াশীল অর্থাৎ কোনো উপাদানই এককভাবে কোনো কাজ সম্পূর্ণ করতে পারে না। এটি অবশ্যই একে অন্যের উপর নির্ভরশীল। যেমন- প্রোডাকশন ডিপার্টমেন্ট অবশ্যই সেলস ডিপার্টমেন্টের উপর ক্রিয়াশীল। ঠিক তেমনই কম্পিউটার সিস্টেমও তার অন্যান্য পেরিফেরালস (Peripherals) ডিভাইসের উপর ক্রিয়াশীল।

 

সিস্টেমের বৈশিষ্ট্য

 

(গ) ইন্টারডিপেনডেন্স (Interdependence) :

যখন কোনো সিস্টেমের উপাদান অন্যান্য সাব-সিস্টেমের উপর নির্ভর করে তখন তাকে ইন্টারডিপেনডেল বলে। যেমন- কম্পিউটার সফটওয়্যারের উপর নির্ভরশীল অথবা কম্পিউটার বিদ্যুতের উপর নির্ভরশীল। তাহলে এটি সত্য যে, একটি সিস্টেম অবশ্যই অন্যান্য সাব-সিস্টেম বা সাব-উপাদান ছাড়া চলতে পারে না।

সিস্টেমের বৈশিষ্ট্য | ইনফরমেশন সিস্টেমস ও ম্যানেজমেন্টের উপাদানসমূহ | সিস্টেম অ্যানালাইসিস অ্যান্ড ডিজাইন

(ঘ) ইন্টিগ্রেশন (Integration) :

একটি প্রক্রিয়া অনেকগুলো ধাপের মাধ্যমে সম্পূর্ণ হয়। তাহলে এ ধাপের মধ্যে অবশ্যই সংযোগ থাকতে হবে। ইন্টিগ্রেশনের বাংলা অর্থ সংযোগ সাধন। যদি সিস্টেমের মধ্যে সুন্দর সুসংগঠিত সম্পর্ক বিরাজ না করে তবে সিস্টেম কার্যকরী করা সম্ভব নয়।

 

সিস্টেমের বৈশিষ্ট্য | ইনফরমেশন সিস্টেমস ও ম্যানেজমেন্টের উপাদানসমূহ | সিস্টেম অ্যানালাইসিস অ্যান্ড ডিজাইন

 

(ঙ) সেন্ট্রাল অবজেক্টিভ (Central objective) :

প্রত্যেক কাজের একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকতে হবে। উদ্দেশ্যহীন কাজ মাঝিহীন নৌকার মতো। উদ্দেশ্য অবশ্যই যথার্থ ও বস্তুগত হতে হবে। উদ্দেশ্যকে বাস্তবায়ন করার জন্য একটি সিস্টেম ধারাবাহিকভাবে কাজ করে। যেমন- একটি কম্পিউটার সিস্টেম দ্বারা কাজ করতে হলে কী সমস্যা সমাধান করতে হবে এবং ঐ সমস্যা সমাধানের জন্য কীভাবে প্রোগ্রাম রচনা করতে হবে তার একটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া নির্বাচন করতে হবে। তাই সেন্ট্রাল অবজেক্টিভ একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।

 

সূত্র:

  • সিস্টেমের বৈশিষ্ট্য | ইনফরমেশন সিস্টেমস ও ম্যানেজমেন্টের উপাদানসমূহ | সিস্টেম অ্যানালাইসিস অ্যান্ড ডিজাইন।

আরও দেখুনঃ

1 thought on “সিস্টেমের বৈশিষ্ট্য”

Leave a Comment