তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার এর নৈতিকতা এইচএসসি – আই.সি.টি (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি) [ HSC – ICT (Information and Communications Technology) ] তথা একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর – আই.সি.টি (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি) [ Class 11 & 12 – ICT (Information and Communications Technology) ] এর ১ম অধ্যায় [ Chapter 1] এ পড়ানো হয়। তাছাড়া আলিম ক্লাস [ Alim Class ] ও অন্যান্য শিক্ষা ব্যবস্থায় এই বিষয়টি পড়ানো হয়।
Table of Contents
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার এর নৈতিকতা
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারে নৈতিকতা?
নৈতিক মূল্যবোধ হল সুনির্দিষ্ট কিছু নৈতিক ধারণা যা মানুষ নিজের ভেতর ধারণ করে ও এগুলো কারও সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলের দ্বারা অতিমাত্রায় প্রভাবিত হয়৷ বর্তমান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যুগে নৈতিকতার বিষয়টি বিশেষ গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয়৷ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিরাট ক্ষেত্রটিতে প্রায় সর্বত্রই কম্পিউটার প্রযুক্তির সংশ্লিষ্টতা লক্ষ করা যায়৷

১৯৯২ সালে কম্পিউটার এথিকস ইন্সটিটিউট কম্পিউটার এথিকস এর বিষয়ে দশটি নির্দেশনা তৈরি করে৷ নির্দেশনাগুলো র্যামন সি. বারকুইন তার In pursuit of a ten commandments’ for Computer ethics গবেষণাপত্রে উপস্থাপন করেছিলেন৷ এ দশটি নির্দেশনা হলঃ
- অন্যের ক্ষতি করার জন্য কম্পিউটার ব্যবহার না করা৷
- অন্যের কাজের ব্যাঘাত সৃষ্টির জন্য কম্পিউটার প্রযুক্তিকে ব্যবহার না করা৷
- অন্যের কম্পিউটারের ডেটার উপর নজরদারি না করা৷
- অনুমতি ব্যতিরেকে অন্যের কম্পিউটার রিসোর্স ব্যবহার না করা৷
- অন্যের বুদ্ধিদীপ্ত বা গবেষণালব্ধ ফলাফলকে নিজের মালিকানা বলে দাবি না করা৷
- তথ্য চুরির উদ্দেশ্যে কম্পিউটার ব্যবহার না করা৷
- কম্পিউটার প্রযুক্তি ব্যবহার করে মিথ্যা তথ্য রটানোর কাজে সম্পৃক্ত না হওয়া বা সহযোগিতা না করা৷
- যেসব সফটওয়্যার এর জন্য আপনি অর্থ প্রদান করেন নি সেগুলো ব্যবহার বা কপি না করা৷
- প্রোগ্রাম লেখার পূর্বে সমাজের উপর তা কী ধরনের প্রভাব ফেলবে সেটি চিন্তা করো৷
- যোগাযোগের ক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যবহারের সময় সহকর্মী বা অন্য ব্যবহারকারীর প্রতি শ্রদ্ধা ও সৌজন্য প্রদর্শন করা৷
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার এর নৈতিকতা এর বিস্তারিত ঃ
আরও পড়ুনঃ