তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার এর নৈতিকতা | HSC, Alim, ICT

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার এর নৈতিকতা এইচএসসি – আই.সি.টি (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি) [ HSC – ICT (Information and Communications Technology) ] তথা একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর – আই.সি.টি (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি) [ Class 11 & 12 – ICT (Information and Communications Technology) ] এর ১ম অধ্যায় [ Chapter 1] এ পড়ানো হয়। তাছাড়া আলিম ক্লাস [ Alim Class ] ও অন্যান্য শিক্ষা ব্যবস্থায় এই বিষয়টি পড়ানো হয়।

 

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার এর নৈতিকতা

 

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারে নৈতিকতা?

নৈতিক মূল্যবোধ হল সুনির্দিষ্ট কিছু নৈতিক ধারণা যা মানুষ নিজের ভেতর ধারণ করে ও এগুলো কারও সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলের দ্বারা অতিমাত্রায় প্রভাবিত হয়৷ বর্তমান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যুগে নৈতিকতার বিষয়টি বিশেষ গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয়৷ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিরাট ক্ষেত্রটিতে প্রায় সর্বত্রই কম্পিউটার প্রযুক্তির সংশ্লিষ্টতা লক্ষ করা যায়৷

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার এর নৈতিকতা
আর তাই কম্পিউটার এথিকস বা কম্পিউটার নীতিশাস্ত্র নামে ব্যবহারিক দর্শনশাস্ত্রের একটি শাখা সৃষ্টি হয়েছে যা পেশা ও সামাজিক প্রেক্ষাপট অনুযায়ী কম্পিউটিং প্রফেশনালদের কীভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে সে বিষয়টি আলোচনা করে৷ বোলিং গ্রিন স্টেট ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ড. ওয়াল্টার ম্যানার সর্বপ্রথম কম্পিউটার এথিকস টার্মটির সাথে পরিচয় করিয়ে দেন৷
কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট অ্যাপ্লিকেশনসমূহে কম্পিউটার এথিকস একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়৷ কিছুসংখ্যক প্রশ্ন রয়েছে যেগুলো কম্পিউটার এথিকস এর অধীনে বিস্তারিত আলোচিত হয়ে থাকে৷ ইন্টারনেটের উত্থানের ফলে বর্তমান সময়ে উদীয়মান কিছু সমস্যা কিংবা যেগুলো নতুন রূপ পেয়েছে যেমন হ্যাকিং এর বিষয়ে নৈতিকতার প্রশ্ন জড়িত৷  এখন অন্যের সম্পর্কে তথ্য পাওয়ার বহু উপায় রয়েছে যেগুলো ব্যাপক মাত্রায় কম্পিউটার প্রচলনের আগে সহজলভ্য ছিল না ৷
ইনফরমেশন স্টোরেজ অ্যান্ড রিট্রাইভাল ইস্যুটি এক্ষেত্রে সামনে চলে আসে৷ বিশাল ডেটাবেজে থাকা ব্যক্তিগত ডেটা কীভাবে সুরক্ষিত রাখা যায় সে বিষয়টিও রয়েছে৷ টরেন্ট সাইটগুলোর মাধ্যমে অবাধে সফটওয়্যার ও কপিরাইটের বিষয়বস্তু বিনামূল্যে বিতরণের মাধ্যমে কপিরাইট আইন লঙ্ঘিত হচ্ছে৷
 নৈতিকতার প্রশ্নটি এখানে এসে যাচ্ছে যে সফটওয়্যার মিউজিক বা মুভি কপি করাটা কি উচিত না অনুচিত ইন্টারনেটের ব্যবহার ভায়োলেন্সের একটি হাতিয়ার হয়ে উঠেছে৷ শিশু পর্নোগ্রাফি অন্যকে সমস্যার মধ্যে ফেলা ইত্যাদি বিষয় বিভিন্ন ধরনের নৈতিক প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে৷ তাই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ক্ষেত্রে পেশাদার লোকদের জন্য এসব প্রশ্নের উত্তর এবং এক্ষেত্রে করণীয় বিষয়গুলো জানা আবশ্যক হয়ে পড়েছে৷

১৯৯২ সালে কম্পিউটার এথিকস ইন্সটিটিউট কম্পিউটার এথিকস এর বিষয়ে দশটি নির্দেশনা তৈরি করে৷ নির্দেশনাগুলো র‌্যামন সি. বারকুইন তার In pursuit of a ten commandments’ for Computer ethics গবেষণাপত্রে উপস্থাপন করেছিলেন৷ এ দশটি নির্দেশনা হলঃ

  • অন্যের ক্ষতি করার জন্য কম্পিউটার ব্যবহার না করা৷
  • অন্যের কাজের ব্যাঘাত সৃষ্টির জন্য কম্পিউটার প্রযুক্তিকে ব্যবহার না করা৷
  • অন্যের কম্পিউটারের ডেটার উপর নজরদারি না করা৷
  • অনুমতি ব্যতিরেকে অন্যের কম্পিউটার রিসোর্স ব্যবহার না করা৷
  • অন্যের বুদ্ধিদীপ্ত বা গবেষণালব্ধ ফলাফলকে নিজের মালিকানা বলে দাবি না করা৷
  • তথ্য চুরির উদ্দেশ্যে কম্পিউটার ব্যবহার না করা৷
  • কম্পিউটার প্রযুক্তি ব্যবহার করে মিথ্যা তথ্য রটানোর কাজে সম্পৃক্ত না হওয়া বা সহযোগিতা না করা৷
  • যেসব সফটওয়্যার এর জন্য আপনি অর্থ প্রদান করেন নি সেগুলো ব্যবহার বা কপি না করা৷
  • প্রোগ্রাম লেখার পূর্বে সমাজের উপর তা কী ধরনের প্রভাব ফেলবে সেটি চিন্তা করো৷
  • যোগাযোগের ক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যবহারের সময় সহকর্মী বা অন্য ব্যবহারকারীর প্রতি শ্রদ্ধা ও সৌজন্য প্রদর্শন করা৷

 

একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ফাংশন | অর্গানাইজেশনাল ফাংশন এবং সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট লাইফ সাইকেল | সিস্টেম অ্যানালাইসিস অ্যান্ড ডিজাইন

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার এর নৈতিকতা এর বিস্তারিত ঃ

 

 

আরও পড়ুনঃ

Leave a Comment