সুইচ, হাব, রাউটার ও নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস কার্ড | HSC, Alim, ICT

সুইচ, হাব, রাউটার ও নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস কার্ড এইচএসসি – আই.সি.টি (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি) [ HSC – ICT (Information and Communications Technology) ] তথা একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর – আই.সি.টি (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি) [ Class 11 & 12 – ICT (Information and Communications Technology) ] এর ২য় অধ্যায় [ Chapter 2 ] এ পড়ানো হয়। তাছাড়া আলিম ক্লাস [ Alim Class ] ও অন্যান্য শিক্ষা ব্যবস্থায় এই বিষয়টি পড়ানো হয়।

 

সুইচ, হাব, রাউটার ও নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস কার্ড

 

সুইচ

 

নেটওয়ার্ক সুইচ আর নেটওয়ার্ক হাব কম্পিউটার নেটওয়ার্কি এর মুল স্তম্ভ। নেটওয়ার্কিং এর ক্ষেত্রে সুইচ হলো এমন একটি যন্ত্র যা লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কের বিভিন্ন অংশের মধ্যে তথ্য প্যাকেট আদানপ্রদানের সময় ফিল্টারিং এবং প্যাকেট ফরোয়ার্ডিং করতে পারে। সুইচ ওএসআই লেয়ারের অন্যতম ডাটা লিঙ্ক লেয়ারে কাজ করে। তবে কখনো কখনো এটি নেটওয়ার্ক লেয়ারেও কাজ করে। যেসব লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (ল্যান) তাদের বিভিন্ন অংশের মধ্যে যোগাযোগের জন্য সু-ইচ ব্যবহার করে তাদের বলা হয় সুইচড ল্যান।

সুইচ যে নেটওয়ার্ক স্তরে ডেটা অতিরিক্তভাবে প্রসেস করে (স্তর ৩) এবং স্তর ৩ সুইচ হিসেবে উপরে প্রায়শই উল্লেখ করা হয়। প্রথম Ethernet সুইচ ১৯৯০ তে উপস্থাপন করা হয়েছিল।

 

রিপিটার ও সুইচের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যাবলি

 

হাব

 

ইথারনেট হাব (Ethernet hub) একাধিক টুইস্টেড পেয়ার (Twisted pair) বা ফাইবার অপটিক (Fibre Optic) ইথারনেট (Ethernet) যন্ত্রসমূহকে সংযোগকারী যন্ত্র।সাধারণত তারযুক্ত নেটওয়ার্কে থাকা অনেকগুলো আইসিটি যন্ত্র তথা কম্পিউটার,প্রিন্টার,ইত্যাদিকে একসঙ্গে যুক্ত করতে হাব ব্যবহৃত হয়।হাব একসঙ্গে অনেক যন্ত্রকে যোগাযোগ করার সুযোগ দেয়।বলা যায়,একই হাব এ যুক্ত থাকা একাধিক কম্পিউটার একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে পারে।ইদানীং আবার ইউএসবি হাব ও দেখা যায়।

হাবের মধ্য দিয়ে যখন ডেটা বা তথ্য এক যন্ত্র থেকে অন্য যন্ত্রে যায়,হাব তখন সেগুলো পড়তে পারে না। এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে তথ্য পাঠালে হাব তার সাথে সংযুক্ত সকল কম্পিউটারে ওই তথ্য বা ডেটা পাঠিয়ে দেয়।এমনকি যে কম্পিউটার থেকে ওই তথ্য পাঠানো হলো, তাকেও হাব ওই তথ্য পাঠিয়ে দেয়।অর্থাৎ হাব নির্দিষ্ট ঠিকানানুযায়ী তথ্য পাঠাতে পারে না।

 

মডেম, হাব, রিপিটার, সুইচ ও রাউটারের শনাক্তকারী গঠন পর্যবেক্ষণ

 

রাউটার

 

রাউটার একটি গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র, যা হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের সমন্বয়ে তৈরি। এটি নেটওয়ার্ক তৈরির কাজে ব্যবহার করা হয়। রাউটার হচ্ছে একটি নেটওয়ার্কিং ডিভাইস যা বিভিন্ন নেটওয়ার্কের মধ্য দিয়ে ডাটা প্যাকেট তার গন্তব্যে কোন পথে যাবে তা নির্ধারণ করে।

ডেটা প্যাকেট হচ্ছে ডেটার ব্লক বা ডেটার সমষ্টি। রাউটার ডেটা প্যাকেটগুলোকে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে কম দূরত্বের পাথ (path) ব্যবহার করে। রাউটার ইন্টারনেটে “ট্রাফিক ডিরেক্টিং” এর কাজ সম্পন্ন করে। সাধারণভাবে, একাধিক নেটওয়ার্কের সমন্বয়ে গঠিত আন্তঃ নেটওয়ার্কের মধ্য দিয়ে একটি ডাটা প্যাকেটকে এক রাউটার থেকে অন্য রাউটারে পাঠানো হয় যতক্ষণ পর্যন্ত না এটি তার গন্তব্যে পৌঁছে যায়।

একটি রাউটার বিভিন্ন নেটওয়ার্কের দুই বা তার অধিক ডাটা লাইনের সাথে যুক্ত থাকে। (রাউটারের কাজ নেটওয়ার্ক সু-ইচের বিপরীত, -সুইচ বিভিন্ন ডাটা লাইনকে একটি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে যুক্ত করে)। যখন একটি ডাটা প্যাকেট এই লাইনগুলোর একটিতে পৌঁছে, তখন রাউটার এর চূড়ান্ত গন্তব্য জানার জন্য প্যাকেটের তথ্য পড়ে। এরপর এর রাউটিং টেবিল বা রাউটিং পলিসিতে থাকা তথ্যের সাহায্যে প্যাকেটটিকে তার গন্তব্যের পরবর্তী নেটওয়ার্কে পাঠিয়ে দেয়। এর ফলে আন্তঃ নেটওয়ার্কের একটি আস্তরণ তৈরি হয়।

সবচেয়ে পরিচিত রাউটারগুলো বাসা-বাড়ি এবং ছোট অফিসে ব্যবহৃত হয়। এগুলো শুধু ডাটা পাস করতে পারে, যেমন-ওয়েব পৃষ্ঠা, ই-মেইল, আইএম এবং হোম কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের মধ্যকার ভিডিও। রাউটারের একটি উদাহরণ হতে পারে স্বত্বাধিকারী ক্যাবল বা ডিএসএল রাউটার যেটি একটি আইএসপি এর মাধ্যমে ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত করে।

আরও জটিল রাউটার, যেমন এন্টারপ্রাইজ রাউটার, বড় ব্যবসা বা আইএসপি নেটওয়ার্ককে শক্তিশালী কেন্দ্রীয় রাউটারের সাথে সংযুক্ত করে। এই কেন্দ্রীয় রাউটার ডাটাকে অপটিক্যাল ফাইবার লাইনের মধ্য দিয়ে দ্রুতগতিতে ইন্টারনেটে প্রেরণ করে। যদিও রাউটার সাধারণত একটি হার্ডওয়্যার ভিত্তিক ডিভাইস, তবুও সফটওয়্যার ভিত্তিক রাউটারের ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

 

রাউটার ও গেটওয়ের কার্যক্রম

 

নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস কার্ড

 

NIC এর পূর্ণরুপ হচ্ছে (Network Interface Card)। দুই বা ততোধিক কম্পিউটারের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য স্থাপিত কার্ডকে NIC বলা হয়। নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস কার্ড বা ল্যানকার্ড বা নেটওয়ার্ক এডাপ্টার হল একটি প্লাগ-ইন কার্ড যা কম্পিউটারকে নেটওয়ার্কভুক্ত করে। নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত এক ডিভাইস থেকে আরেক ডিভাইসে ডেটা পাঠাতে বা গ্রহণ করতে ল্যান কার্ডের প্রয়োজন হয়। এটি ইন্টারপ্রেটারের ন্যায় সিগন্যাল আদান-প্রদানের কাজটি সমন্বয় করে থাকে।

বর্তমানে বাজারে পাওয়া যায় এমন প্রায় সব কম্পিউটার বা ল্যাপটপ আইসিটি যন্ত্রের মাদারবোর্ডের সাথে নিক বা ল্যান্ড সংযুক্ত অবস্থায় থাকে। আলাদা করে মাদারবোর্ডের স্লটের মধ্যে কার্ড বসানো যায়। প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে বর্তমানে তারবিহীন (Wireless) ল্যান কার্ড খুবই সাধারণ।

নেটওয়ার্ক কার্ডে ৪৮ বিটের একটি অদ্বিতীয় কোড বা ক্রমিক নম্বর থাকে, যার কারণে প্রতিটি কার্ড ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। আর এই অদ্বিতীয় ক্রমিক নম্বরটিকে ম্যাক (MAC) এড্রেস বলা হয়। এই এড্রেস ডিফল্টভাবে কার্ডটির রমে সংরক্ষিত থাকে।

 

নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস

 

 

একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ফাংশন | অর্গানাইজেশনাল ফাংশন এবং সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট লাইফ সাইকেল | সিস্টেম অ্যানালাইসিস অ্যান্ড ডিজাইন

সুইচ, হাব, রাউটার ও নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস কার্ড এর বিস্তারিত ঃ

 

 

আরও পড়ুনঃ

Leave a Comment