আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় নিরাপত্তাবিষয়ক ধারণা। যা নিরাপদ ও নৈতিক ব্যবহার অধ্যায় এর অন্তর্ভুক্ত।
নিরাপত্তাবিষয়ক ধারণা
প্রযুক্তি আমাদের জীবন থেকে শুরু করে একটা রাষ্ট্রের পরিচালনা বা নিরাপত্তার প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে খুবই গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জীবনের যেকোনো ক্ষেত্রকে আরো সুন্দর, আরো সহজ এবং আরো সমভাবে পরিচালনা করতে হলে আমারে সাহায্য নিতে হবে। মেটওয়ার্কের কারণে এখন কেউই আর নানা মন্থ এক অর্থে সবাই সবার সাথে যুক্ত।
এ দিয়ে এটি একটি অসাধারণ ব্যাপার, অন্যদিক দিয়ে এটি নতুন এক ধরনের ঝুঁকি নেটওয়ার্ক নিয়ে যেহেতু সবাই সবার সাথে যুক্ত, তাই কিছু অসাধু মানুষ এই নেটওয়ার্কের ভেতর দিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। যে তথ্যগুলো কোনো কারণে গোপন র সেগুলো দেখার চেষ্টা করে।
যারা নেটওয়ার্ক তৈরি করিয়েছেন, তারা সবসময়ই চেষ্টা করেন কেউ যেন সেটি করতে না পারে। প্রত্যেকটি কম্পিউটার বা নেটওয়ার্কেই নিজ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকে, কেউ যেন সেই নিরাপত্তার দেয়াল ভেঙে ঢুকতে না পারে তার চেষ্টা করা হয়। নিরাপত্তার এ অদৃশ্য দেয়ালকে কান্নার ওয়াল বলা হয়।
তারপরও প্রায় সব সময়েই অসাধু মানুষেরা অন্যের এলাকার প্রবেশ করে তার তথ্য দেশে, সি দেয়া কিংবা অনেক সময় নষ্ট করে দেয়। এ পতিকে বলে হ্যাকিং। যারা হ্যাকিং করে তাদেরকে বলে হ্যাকার। একজন হ্যাকার ২০০০ गान ফল, ইসা আজ – সিএনএনের মতো বড় বড় প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট হ্যাক করে একশ কোটি ডলারের বেশি ক্ষতি করে ফেলেছিল।
নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নেটওয়ার্ক সংযোগের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পাসওয়ার্ড দেওয়া হয়। গলগুবাচী এমনভাবে দেওয়া হয় কেউ যেন সেটি সহজে অনুমান করতে না পারে। কিন্তু পাসওয়ার্ড বের করে ফের জন্য বিশেষ কম্পিউটার বা বিশেষ গোট তৈরি হয়েছে। এগুলো সারাক্ষণই সকল পাসওয়ার্ড দিয়ে চেষ্টা করতে থাকে, যতক্ষণ না পাসওয়াডটি দের হয়।
সেজন্য আজকাল প্রায় সবক্ষেত্রেই সঠিক পাসওয়ার্ড দেওয়ার পরত একজনকে ঢুকতে দেওয়া হয় না। একটি বিশেষ লেখা পড়ে সেটি টাইল করে নিতে হয়। একজন সত্যিকার মানুষ মেটি সহজেই বুঝতে পারে কিন্তু একটি যন্ত্র বা রোবট তা বুঝতে পারে না। মানুষ এবং যন্ত্রকে আলাদা করার এই পদ্ধতিকে বলা হয় captcha দেখা হয়েছে captcha যতই দিন যাচ্ছে আমরা ততই জবপ্রযুক্তি এবং নেটওয়ার্কের উপর বেশি নির্ভর করতে শুরু করেছি।
কোনো কারণে যদি কিছুক্ষণের জন্যও এই নেটওয়ার্ক অচল হয়ে যায়, পৃথিবীতে এক ধরনের বিপর্যয় নেমে আসবে। সে কারণে এ নেটওয়ার্কগুলো সচল রাখতে সব কিছু করা হয়। সেন্টার। সব রকম যান্ত্রিক গোলযোগ, আগুন, ভূমিকম্প বা অপরাধীদের হামলা থেকে এগুলো রক্ষার ব্যবস্থ করা হয়।ইন্টারনেটের সম্পূর্ণ ভিন্ন এক ধরনের নিরাপত্তাহীনতা বাড়ছে, যেটি সম্পর্কে অনেকেরই ভালো ধারণা নেই।
আজকাল সবরকম তথ্যের জন্য আমরা ইন্টারনেটের উপর নির্ভর করি কিন্তু সকল তথ্য যে সঠিক সেটি সত্যি নয় ।ৰাম পাশের আইনস্টাইন এবং জিলার্ডের ছবিটিতে জিলার্ডের মাথা বলসে বিজ্ঞানী সত্যেন বোসের মাধা ৰগিয়ে ডান পাশের ছবিটি তৈরি করে ইন্টারনেটে ব্লগে দেওয়া আছে।
আসল ছবিটির কথা না জানলে মানুষ ভুল তথা বিশ্বাস করে ফেলে অনেকে অনিচ্ছাকৃতভাবে বা অনেকে ইচ্ছা করে ভুল বা মিথ্যা তথ্য দিয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মিথ্যা তথ্য প্রচার করার অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে। কাজেই ইন্টারনেট থেকে তথ্য নেওয়ার বেলায় সব সময়ই নিজের জ্ঞান-বুদ্ধি ব্যবহার করে যাচাই করে নিতে হয়।
আরও পড়ুনঃ