তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব

আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব। যা প্রযুক্তির গুরুত্ব অধ্যায় এর অন্তর্ভুক্ত।

 

 

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব

 

 

নীলিমাদের বাড়িতে অঙ্গ ঈদের দিনের মতো আনন্দ। কারণ অনেক দিন পর ঢাকা থেকে নীলিমার বড় ভাই বাড়িতে জানবে। নীলিমা মান তাদের বাবা-মার দুই সন্তান। গুদের বাড়ি বাংলাদেশের উত্ত জেলাগুলোর অন্যতম কুড়িগ্রাম জেলার ভূরঙ্গামারি উপজেলার সদর থেকে একটু এগোলেই গুদের বাড়ি।

এদের বাবা জানাল দিয়া যন্ত্রপ্রাচ্যের একটি দেশে চাকরি করেন। নীলিমা এ বছর অষ্টম শ্রেণিতে উঠেছে। ইতিপূর্বে সে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনি পরীক্ষাতে বৃত্তি পেয়েছিল। ভাই ভালো শিক্ষার্থী হিসেবে গ্রামের সবাই নীলিমাকে পছন্দ করে।

নীলিমার ভাই হুমায়ূনও ভাবে খুন কার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ভর্তি হয়, সে বছর এদের উপজেলা থেকে সেই একমাত্র শিক্ষার্থী ছিল যে বুয়েটে পড়ার সুযোগ পায়। হুমায়ূন এখন ঢাকার একটি বেসরকারি সফটওয়্যার কোম্পানিতে চাকরি করে।

বাড়িতে নীলিমা ও নীলিমার মায়ের সঙ্গে ওদের দাদা ও দানি থাকেন।হুমায়ূন আসবে জেনে হুমায়ূনের বাবা গতকালই মধ্যপ্রাচ্য থেকে নীলিমার মায়ের মোবাইল ফোনে টাকা পাঠিয়েছেন। কাল দুপুরেই মা বাজারে গিয়ে টাকা নিয়ে এসেছেন আর সঙ্গে অনেক বাজার।

আজ সকাল থেকে মা আর সানি মিলে রান্না করছে। নীলিমার দাদা পত্রিকায় পড়েছেন যে বিসিএস পরীক্ষার জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে হুমায়ুন যদি বাড়ি আসে তাহলে সে কীভাবে উদ্ভ পরীক্ষার জন্য দরখাস্ত করবে, বিষয়টি নিয়ে তিনি চিন্তিত হলেন।

সকাল থেকে দাদা নীলিমাকে শুনিয়েছে কেমন করে তিনি নিজের চাকরির জন্য দরখাস্ত করেছিলেন। হেঁটে হেঁটে নদীর ঘাটে যাওয়া, সেখান থেকে নৌকা করে আর পায়ে হেঁটে কুড়িগ্রাম শহরে যাওয়া, সেখানে দরখাস্ত টাইপ করা, তারপর সেটি পাঠানো। কত কাজ। Bangladesh Public Service Commission
অবশ্য দানার উৎকন্ঠা দেখে নীলিমা তেমন ভয় পাচ্ছে না।

গত রাতে সে ভাইয়ার কাছ থেকে জেনেছে, তাদের বাড়িতে বসেই ভাইয়া ঐ আবেদন করতে পারবে। নীলিমা অবশ্য তর দাদাকে এ কথাও মনে করিয়ে দিয়েছে যে তার প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনি পরীক্ষার ফলাফল আনার জন্য সাদাকে কুড়িগ্রাম শহরে

যেতে হয়নি। মার মোবাইল ফোনেই পরীক্ষার ফলাফল জেনেছিল।বাড়িতে ঢুকে হুমায়ূন প্রথমেই তার দাদাকে আশ্বস্ত করল যে তার ল্যাপটপ আর মডেমের সাহায্যে ইন্টারনেটে প্রবেশের মাধ্যমে সে বাড়িতে বসেই আবেদনটি করতে পারবে। শুধু তাই নয়, তার ঢাকা ফিরে যাওয়ার ট্রেনের টিকেট কিনতেও কাউকে আর স্টেশনে গিয়ে লাইনে দাঁড়াতে হবে না।

রাতে খাওয়াদাওয়ার পর হুমায়ূন তার ল্যাপটপের সঙ্গে মডেমটি লাগিয়ে নিল। তারপর আবেদন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করল। এবার সবাইকে নিয়ে চলে গেল এক নতুন দুনিয়ায়, যেখানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি কেমন
করে পৃথিবীকে নানাভাবে বদলে দিচ্ছে।

 

আরও পড়ুনঃ

• দুই বোতামের মাউস | সারা সপ্তাহের খবর