মোবাইল টেলিফোন সিস্টেম (তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম প্রজন্ম) | HSC, Alim, ICT

মোবাইল টেলিফোন সিস্টেম (তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম প্রজন্ম) এইচএসসি – আই.সি.টি (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি) [ HSC – ICT (Information and Communications Technology) ] তথা একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর – আই.সি.টি (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি) [ Class 11 & 12 – ICT (Information and Communications Technology) ] এর ২য় অধ্যায় [ Chapter 2] এ পড়ানো হয়। তাছাড়া আলিম ক্লাস [ Alim Class ] ও অন্যান্য শিক্ষা ব্যবস্থায় এই বিষয়টি পড়ানো হয়।

 

মোবাইল টেলিফোন সিস্টেম (তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম প্রজন্ম)

 

সেলুলার ফোনের ইতিহাস শুরু হয় ১৯২০ সালে, মোবাইল রেডিও আবিস্কারের পর। ১৯৪০ সালে মার্টিন কুপার মটোরলা (সিলিকন ভ্যালি কোম্পানীর প্রতিষ্ঠাতা) আধুনিক মোবাইল ফোন আবিস্কার করেন। তাই তাকে মোবাইল ফোনের জনক বলা হয়। এই সময় হতে যুক্তরাষ্ট্রে মোবাইল ফোন শুরু হয়। পরে ১৯৫০ সালে ইউরোপ ও ২য় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালিন সময় যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী সর্বপ্রথম মোবাইল ফোন ব্যবহার শুরু করে।

ইংরেজী শব্দ থেকে মোবাইল ফোন শব্দটি এসেছে। শব্দটির বাংলা অর্থ সরানো, নাড়ানো, চলমান। তাই চলমান অবস্থায় তারবিহীন যে সকল ফোন ব্যবহার করা হয় তাকে মোবাইল ফোন বলে।

মোবাইল ফোন হলো এক ধরণের ইলেকট্রনিক ডিভাইস যার সাহায্যে সেলুলার নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি ব্যবহার করে উভয়মুখী বা দ্বিমুখী টেলিযোগাযোগ করা যায়। মোবাইল ফোনকে অনেক সময় সেলুলার ফোন, সেলফোন বা হ্যান্ড ফোনও বলা হয়।

দুটি চলনশীল ডিভাইস অথবা একটি চলনশীল ও অন্যটি স্থির ডিভাইসের মধ্যে ডেটা ও তথ্য আদান প্রদান করার লক্ষ্যে ডিজাইনকৃত সিষ্টেমকে মোবাইল টেলিফোন সিস্টেম বলে। চলমান ডিভাইসকে মোবাইল স্টেশন বা মোবাইল সেট এবং স্থির ডিভাইসকে Land Unit  বলা হয়।

সেলুলার টেলিফোন হলো এক ধরণের শর্ট-ওয়েভ অ্যানালগ বা ডিজিটাল টেলিযোগাযোগ যেখানে কোনো গ্রাহকের একটি মোবাইল ফোন থেকে কাছাকাছি অবস্থিত কোন ট্রান্সমিটারের মধ্যে ওয়ারলেস সংযোগ থাকে। ট্রান্সমিটারের কভারেজ এরিয়াকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করা হয়। এর প্রতিটি ভাগকে বলে সেল। সেলুলার রেডিও সিষ্টেমে রেডিও সার্ভিসের সাথে ভূমি এলাকায় সিগনাল বা সংকেত সরবরাহ করা হয় যা নিয়মিত আকারের সেলে বিভক্ত। সেল ষড়ভুজাকার, বর্গাকার, বৃত্তাকার বা অন্য কোন অনিয়মিত আকারের হতে পারে। যদিও ষড়ভুজাকারই প্রথাগত।

সেল সিগন্যাল এনকোডিংঃ বিভিন্ন ট্রান্সমিটার থেকে প্রেরিত সিগন্যালগুলো আলাদা করার জন্য ব্যবহৃত এনকোডিং পদ্ধতিকে বলা হয় সেল সিগন্যাল এনকোডিং। সেল সিগন্যাল এনকোডিং এর প্রকারভেদঃ

  • FDMA- Frequency Division Multiple Access
  • TDMA- Time Division Multiple Access
  • CDMA- Code Division Multiple Access

 

মোবাইল টেলিফোন সিস্টেম (তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম প্রজন্ম)

 

মোবাইল ফোনের বিভিন্ন প্রজন্ম

মোবাইল ফোনের ক্রমবর্ধমান ব্যবহার ও উন্নয়নের  এক একটি পর্যায় বা ধাপকে মোবাইল ফোনের প্রজন্ম নামে অবিহিত করা হয়। এ পর্যন্ত আবিস্কৃত মোবাইল ফোনের চারটি প্রজন্মে ভাগ করা যায়। নিচে এসব প্রজন্মের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

 

তৃতীয় প্রজন্ম (২০০১-২০০৮):  

১। ডেটা স্থানান্তরে প্যাকেট সুইচিং ও সার্কিট সুইচিং উভয় পদ্ধতিই ব্যবহৃত হয়। তবে প্যাকেই সুইচিং পদ্ধতির সাহায্যে খুব দ্রুত ছবি ও ভয়েস আদান প্রদান করা হয়।

২। মডেম সংযোজনের মাধ্যমে মোবাইল ফোনে ইন্টারনেটের ব্যবহার এবং ডেটা আদান প্রদানের নতুন এক মাত্রা যোগ হয়।

৩। EDGE  পদ্ধতি কার্যকর হয়। ফলে অধিক পরিমান ডেটা স্থানান্তর হয়।

৪। ডেটা স্থানান্তরের গতি 2 Mbps এর অধিক।

৫। মোবাইল ব্যাংকিং, ই-কমার্স ইত্যাদি সেবা কার্যক্রম চালু হয়।

৬। আন্তর্জাতিক রোমিং সুবিধা চালু হয়।

 

চতুর্থ প্রজন্ম (২০০৯-বর্তমান :

১। 4G এর গতি 3G এর চেয়ে প্রায় 50 গুন বেশী। এর প্রকৃত ব্যান্ড উইথ 10 Mbps আশা করা হচ্ছে।

২। টেলিভিশনের অপেক্ষাকৃত উন্নতমানের ছবি এবং ভিডিও লিংক প্রদান করবে।

৩। আইপি নির্ভর ওয়ারলেস নেটওয়ার্ক সিস্টেম কাজ করবে।

 

একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ফাংশন | অর্গানাইজেশনাল ফাংশন এবং সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট লাইফ সাইকেল | সিস্টেম অ্যানালাইসিস অ্যান্ড ডিজাইন

মোবাইল টেলিফোন সিস্টেম (তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম প্রজন্ম) এর বিস্তারিত ঃ

 

আরও পড়ুনঃ

Leave a Comment