কম্পিউটার বেসড ইনফরমেশন সিস্টেমের প্রয়োজনীয়তা – নিয়ে আজকের আলোচনা। এই পাঠটি “সিস্টেম অ্যানালাইসিস অ্যান্ড ডিজাইন” বিষয় এর “ইনফরমেশন সিস্টেমস ও ম্যানেজমেন্টের উপাদানসমূহ” বিভাগের একটি পাঠ।
কম্পিউটার বেসড ইনফরমেশন সিস্টেমের প্রয়োজনীয়তা
বর্তমান যুগ তথ্যপ্রযুক্তির যুগ। আর এই যুগের মূল হাতিয়ার কম্পিউটার। কম্পিউটার দ্বারা মানুষ পৃথিবীকে হাতের মুঠোয় এনে ফেলেছে। মিলিসেকেন্ডে এক প্রান্তের খবর চলে যাচ্ছে অন্য প্রান্তে। হাজার হাজার পুস্তক ভর্তি ইনফরমেশন ইন্টারনেটে পাঠানো যায়। চোখের নিমিষে। পূর্বে যখন প্রতিষ্ঠান ছোট ছিল, কিংবা টেকনোলজির আবির্ভাব ঘটে নি তখন মানুষ গতানুগতিক সিস্টেমে খুশি ছিল। কিন্তু বর্তমানে কম্পিউটার টেকনোলজি আবির্ভাবের পর কম্পিউটার বেসড ইনফরমেশন সিস্টেমের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে সিস্টেম অ্যানালিস্টরা।
নিম্নে কম্পিউটার-বেসড ইনফমেশন সিস্টেমের প্রয়োজনীয়তা দেওয়া হলো-
(ক) বিশাল আকৃতির প্রতিষ্ঠানের জন্য কম্পিউটার-বেসড ইনফরমেশন সিস্টেমের প্রয়োজন। কারণ বিশাল তথ্য ভাণ্ডার, বিশাল কার্যক্রম গতানুগতিকভাবে হাতে করা কষ্টসাধ্য, সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল।
(খ) কম্পিউটার-বেসড সিস্টেমের ফলে একই তথ্য বার বার বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহার করা যায় এবং দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় ৷
(গ) যখন বিশাল তথ্যের সম্ভার ঘটে তখন দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ, ডাটা ম্যানিপুলেট, ডাটা সার্চিং, সর্টিং এর জন্য কম্পিউটারের প্রয়োজন হয়।
(ঘ) একটি প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন শাখায় প্রসারিত করা যায় এবং কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং এর মাধ্যমে শাখা থেকে ডাটা গ্রহণ করা যায় ।
(ঙ) যেহেতু বর্তমান বিশ্ব প্রতিযোগিতামূলক, তাই এই প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকতে হলে অবশ্যই প্রতিষ্ঠানকে সবার জন্য উন্মুক্ত রাখতে হবে। তাহলে পুরো সিস্টেম কম্পিউটার-বেসড করতে হবে।
(চ) যেহেতু একটি প্রতিষ্ঠানের সিস্টেম বিভিন্ন উপাদান নিয়ে গঠিত। উপরোক্ত উপাদানের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদানের জন্য কম্পিউটার-বেসড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের প্রয়োজন. যেমন- বিভিন্ন ধরনের কাস্টমার, সেলসম্যান, সাপ্লায়ার, সরকারি এজেন্সি, ব্যাংক এনভায়রনমেন্ট প্রটেকশন গ্রুপ, ট্যাক্স ইত্যাদি।
(ছ) সিস্টেমের খরচ হয় কম, দ্রুত ও নিশ্চিত। ইন্টারনেটের সাহায্যে নতুন বাজার সৃষ্টি ও দ্রুত প্রচারের ব্যবস্থা করা যায়।
আরও দেখুনঃ
1 thought on “কম্পিউটার বেসড ইনফরমেশন সিস্টেমের প্রয়োজনীয়তা”