ওয়াই ফাই | HSC, Alim, ICT

ওয়াই ফাই এইচএসসি – আই.সি.টি (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি) [ HSC – ICT (Information and Communications Technology) ] তথা একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর – আই.সি.টি (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি) [ Class 11 & 12 – ICT (Information and Communications Technology) ] এর ২য় অধ্যায় [ Chapter 2] এ পড়ানো হয়। তাছাড়া আলিম ক্লাস [ Alim Class ] ও অন্যান্য শিক্ষা ব্যবস্থায় এই বিষয়টি পড়ানো হয়।

 

ওয়াই ফাই

 

ওয়াই-ফাই  হল ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক প্রটোকলের পরিবার এবং এই পরিবারের মানদণ্ড আইইইই ৮০২.১১ এর উপর ভিত্তি করে, যা সাধারণত লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক ডিভাইস এবং ইন্টারনেট অ্যাক্সেসের জন্য ব্যবহৃত হয়। ২০১৭-এর হিসাব অনুযায়ী, ওয়াই-ফাই অ্যালায়েন্সে বিশ্বজুড়ে ৮০০ টিরও বেশি সংখ্যক সংস্থা ছিল। ২০১৮-এর হিসাব অনুযায়ী, সারা বিশ্বে ২.৯৭ বিলিয়নের উপরে ডিভাইসে ওয়াই-ফাই চালু হয়।

 

ওয়াই ফাই

 

ব্যক্তিগত কম্পিউটার ডেক্সটপ এবং ল্যাপটপ , স্মার্টফন এবং ট্যাবলেট , স্মার্ট টিভি , মুদ্রণযন্ত্র , স্মার্ট স্পিকারস , গাড়ি এবং ড্রন ডিভাইস ওয়াই-ফাই প্রযুক্তির অন্তর্গত। ওয়াই-ফাই আইইইই ৮০২ প্রটোকল পরিবারের অসংখ্য অংশ ব্যবহার করে এবং এটা নকশা করা হয়েছে ইন্টারওয়ার্ক সিমলেসির সাথে ওয়্যারিড সিবিলিং ইথারনেট দিয়ে। সামঞ্জস্যপূর্ণ ডিভাইস একে অপরের ওয়্যারলেস অ্যাক্সেস পয়েন্টের পাশাপাশি ওয়্যারিড ডিভাইস এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে নেটওয়ার্ক তৈরি করতে পারে।

 

অনেক ধরনের বেতার প্রযুক্তি আছে যেখানে আমরা ওয়াই-ফাই ব্যবহার করতে পারি। যেমন AM এবং FM রেডিও, টেলিভিশন, ল্যাপটপ, সেলুলার ফোন,স্যাটেলাইট সিগন্যালগুলি যেমন জিপিএস এবং টেলিভিশন, দুই পাশ বিশিষ্ট রেডিও এবং ব্লুটুথের কথা বলা যায়।

 

ছাদে স্থাপিত ওয়াই ফাই এন্টেনা

ইন্টারনেটে সংযুক্ত নেটওয়ার্কের সীমানার মধ্যে থাকলে একটি ওয়াই -ফাই ডিভাইস যেমন ব্যক্তিগত কম্পিউটার, ভিডিও গেম কনসোল, মোবাইল ফোন, এম পি থ্রী প্লেয়ার বা পিডিএ সহজেই ইন্টেরনেটে সংযুক্ত হতে পারে। পরস্পর সংযুক্ত ইন্টারনেটে প্রবেশ বিন্দু বা এক্সেস পয়েন্টগুলোকে “হটস্পট” বলে। একটি হটস্পট কয়েকটি কক্ষ নিয়ে হতে পারে বা কয়েক মাইল বিস্তৃত হতে পারে।

বিস্তৃত এলাকায় এর লভ্যতা নির্ভর করে প্রবেশ বিন্দু গুলোর উপর যাদের সীমা পরস্পরকে অতিক্রম করে। ওয়াই -ফাই প্রযুক্তি তারহীন মেশ নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত হয়। লন্ডনে এরুপ নেটওয়ার্ক আছে।

বাসা ও অফিসের সাথে সাথে ওয়াই ফাই বিভিন্ন হটস্পটে সাধারণ জনগনকে ইন্টারনেটে প্রবেশ করতে দিতে পারে। এই প্রবেশ বিনামূল্যে হতে পারে বা কোন বাণিজ্যিক সুবিধার কারণে হতে পারে। যেমন অনেক সপিং মল তাদের ক্রেতাদের বিনামূল্যে ওয়াই ফাই সুবিধা দিয়ে থাকে। এটা ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার জন্য করা হয়ে থাকে। ২০০৮ সালে ৩০০ এর বেশি মেট্রোপলিটন-বিস্তৃত ওয়াই -ফাই (মিউনি ওয়াই ফাই) প্রকল্প চালু হয়েছে।  ২০১০ সালের ভিতর চেক প্রজাতন্ত্রে ১১৫০ টি ওয়াই -ফাই ভিত্তিক ইন্টারনেট সুবিধা প্রদানকারী বা আই এস পি গড়ে উঠেছে।

শহর-বিস্তৃত ওয়াই ফাই

২০০০ সালের গোড়ার দিকে অনেক শহর শহর-বিস্তৃত ওয়াই -ফাই নেটওয়ার্ক তৈরীর নকশা করলেও অধিকাংশই ব্যর্থ হয়ে যায়। খুব কম শহর সাফল্য লাভ করে। যেমন ২০০৫ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার সানভ্যালি ইউ এস এর মধ্যে প্রথম শহর-বিস্তৃত বিনামূল্যে ওয়াই -ফাই সুবিধা দিতে সমর্থ হয়েছিল। 

২০১০ সালের মে মাসে লন্ডনের মেয়র বরিস জনসন ২০১২ সালের মধ্যে লন্ডন-বিস্তৃত ওয়াই -ফাই প্রদানের প্রতিজ্ঞা করেন।  তবে ইতোমধ্যে লন্ডন ও ইলিংটন শহরে বর্ধিত বাইরের ওয়াই -ফাই সুবিধা আছে। 

প্রাঙ্গণ-বিস্তৃত ওয়াই ফাই

১৯৯৪ সালে যখন ওয়াই ফাই ব্রান্ডিং শুরু হয় নি তখন কার্নেগি মেলন বিশ্ববিদ্যালয় তাদের পিটসবার্গ প্রাঙ্গণে তারহীন ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা করে।  অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রাঙ্গণ ওয়াই ফাই সুবিধা দিয়ে থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র বা টি এস সি তে বিনামূল্যে ওয়াই ফাই সুবিধা দেয়া হয়।

 

একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ফাংশন | অর্গানাইজেশনাল ফাংশন এবং সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট লাইফ সাইকেল | সিস্টেম অ্যানালাইসিস অ্যান্ড ডিজাইন

ওয়াই ফাই বিস্তারিত ঃ

 

আরও পড়ুনঃ

Leave a Comment